বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ এর প্রভাব পড়েনি হেন খাত নেই। কারে কম কারো বেশি, তবে কেউ কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেনও।
দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পেশা ঝুঁকিতপ থাকায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহায়তা করেছেন বিভিন্ন ভাবে, তবে এক্ষেত্রে বাদ গেছেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা। এমনকি মসজিদের ইমামদের জন্যও সরকার ৫০০০/- টাকার ভাতা দিয়েছেন যেটা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা বঞ্চিত হয়েছিল।
সারাদেশে অনেক কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন তথ্য সরকারের অনেক ব্যক্তিই জানেন, তারপরও এই বিশাল শিক্ষক মন্ডলীর পরিবার কিভাবে চলবে সেই খবর নেইনি সরকার। পাশাপাশি রাস্তার লাইনে দাড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করার মত কাজেও নামেনি এই শ্রেনী।
যেখানে প্রতিষ্ঠান চালু থাকা অবস্থায়ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা অনেকেই পরিবার চালাতে টিউশনি করতেন! সেখানে প্রতিষ্ঠান বন্ধ, টিউশনিও বন্ধ — মানসিকভাবে ভিষণ বিপর্যয়ে আছেন তারা।
শিক্ষকতার মত মহান পেশায় থাকার ফলে যেকোনো পেশায় যেতে পারছেন না। তাছাড়া সব কোম্পানি কর্মী ছাটাই করছে, সেখানে এই শিক্ষকরা নতুন চাকরি কোথায় পাবে।
বড়ই দূর্বিষহ দিনাতিপাত করছেন জাতির কারিগর, কেউ নেই তাদের দেখার।